ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

রাজধানীবাসীর অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী এখন মেট্রোরেল

আপলোড সময় : ২৪-০১-২০২৪ ১১:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-০১-২০২৪ ১২:০৯:০৬ অপরাহ্ন
রাজধানীবাসীর অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী এখন মেট্রোরেল সংগৃহীত
ধীরে ধীরে রাজধানীবাসীর যাতয়াতে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হয়ে উঠছে মেট্রোরেল। যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে মেট্রোরেলে চেপে বসছেন অনেকে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। প্রতিদিনই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো চলায় উপচে পড়া ভিড় প্রতিটি স্টেশনে।

মূলত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে ১৬টি স্টেশনের প্রতিটিতেই থামছে মেট্রো। এক স্টেশন থেকে পরের স্টেশনে যেতে সময় লাগছে মিনিট খানেক। এ যেন অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। এ প্রসঙ্গে একজন প্রবীণ বলেন, পূর্বে উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগতো প্রায় তিন ঘণ্টার মতো। তবে মেট্রোরেল চালু হবার পর এখন সময় লাগছে মাত্র ৩৫ মিনিট।

সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো প্রসঙ্গে একজন নারী বলেন, সঠিক সময়ে ব্যাংকে পৌঁছানোর জন্য যে যুদ্ধ করতে হতো, সেটি মেট্রোরেল অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। আরেকজন নারী বলেন, সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে পারছি। তাই টাকা যদি একটু বেশিও খরচ হয়, তারপরও মেট্রোরেল হবে যাতায়াতের জন্য পছন্দের মাধ্যম।

তবে নিচের সড়কে সেই ধীর গতির গাড়ির সারি। তার উপর দিয়ে সাঁইসাঁই করে চলছে মেট্রোরেল। এ যেন তিলোত্তমা ঢাকাকে নতুন রূপে দেখার সুযোগ। অনেকের কাছে তাই এই রেলভ্রমণটাও উপভোগ্য।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, মূলত ঘোরার জন্য মেট্রোরেলে যাচ্ছি। উত্তরা স্টেশনে নেমে একটু দেখবো। তারপর আগারগাঁও স্টেশনে ফিরবো। এ সময় মেট্রোয় যাতায়াত করা অনেক শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীকে এতো সুন্দর মেট্রোরেল উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানায়।

মেট্রোয় চড়ে সময় মত অফিস যাওয়া, আবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরা যাচ্ছে আগেভাবেই। তাছাড়া নারীদের জন্য নির্ধারিত কোচ থাকায় ভোগান্তি নেই বাসের মতো। এতে যাতায়াতে ফিরে এসেছে স্বস্তি। এদিকে মেট্রোরেলের প্রভাব পড়েছে সড়কে। এই রুটে কমে গেছে বাসের যাত্রী। এ প্রসঙ্গে একজন বাস ড্রাইভার বলেন, মেট্রোরেলের প্রভাব পড়েছে সড়কে। যাত্রী সংকট থাকছেই। বেশিরভাগ সময়ে পুরো গাড়ি খালি যাচ্ছে।

তবে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে সকাল আর বিকালে। অফিসগামী আর অফিসফেরত যাত্রীদের চাপে মতিঝিল বা উত্তরা থেকেই ভরে যাচ্ছে বগিগুলো। তাই মাঝের স্টেশনগুলোয়, কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে মেট্রোয় চড়তে। তাছাড়া খানিক বিড়ম্বনা টিকিট কাটতে গিয়েও। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে অভ্যস্ত না হওয়ায় লাগছে দীর্ঘ সময়। তবে সুবিধা পাচ্ছেন এমআরটি পাস ব্যবহারকারীরা।

তবে সাময়িক কিছুটা অসুবিধা হলেও যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিয়েছে মেট্রোরেল-এমনটাই বলছে সবাই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ